‘কৃষক বান্ধব সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কৃষির প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। তাঁরই নিদের্শনায় কৃষি বিজ্ঞানীদের আধুনিক প্রযুক্তি ও লবণ সহিষ্ণু জাতের কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ফসলের সমারহ বেড়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে ফসলের উৎপাদনে মিষ্টি পানির সরবরাহ বাড়াতে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। লবণসহনশীল জাত ও প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ঘটিয়ে সারা দেশের উৎপাদনে সমন্বয় করার কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে।’ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল ১৪ মে বিকেলে খুলনার বটিয়াঘাটার চক্রাখালী মল্লিকের মোড় এলাকায় কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় সমলয়ে চাষাবাদের মাধ্যমে স্থাপিত লবণাক্ততা সহনশীল ধান ফসলের মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক খুলনা মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার এ মাঠদিবসে সভাপতিত্ব করেন।
অতিরিক্ত সচিব আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষি উৎপাদন অব্যহত রাখতে শুধুমাত্র সারেই ৩০ হাজার কোটি টাকার ভূতুর্কী প্রদান করেছেন। পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়িয়ে আগামী ৩ বছরের মধ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের আশা করছি, তেমনি তেল ফসলের আবাদ বাড়িয়ে আমাদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবো। তিনি আগাম আমন ধানের চাষ করে সরিষার উৎপাদন বাড়িয়ে দুই ফসলী জমিকে তিন ফসলীতে রূপান্তরে উপস্থিত কৃষি বিজ্ঞানী ও কৃষি কর্মকর্তাদের প্রতি নিদের্শনা প্রদান করেন।
মাঠদিবসে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ডিএই, খামারবাড়ি ঢাকার সরেজমিন উইং এর অতিরিক্ত পরিচালক (মনিটরিং ও বাস্তবায়ন) কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, ডিএই খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ ফজলুল হক, উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ হাফিজুর রহমান ও বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মমিনুর রহমান।
এর আগে সকালে অতিরিক্ত সচিব যশোর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের খুলনা ও যশোর অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ডিএই যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ হৃদেয়েশ্বর দত্ত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন। দিনব্যাপী কর্মশালায় খুলনা ও যশোর অঞ্চলের প্রকল্পভুক্ত জেলা ও উপজেলাসমূহের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদদাতাঃ কৃষিবিদ শারমিনা শামিম,আরএফবিও, কৃতসা, খুলনা।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS