কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেছেন, সরকারের উদ্দেশ্য হলো কৃষিকে টেকসই ও লাভজনক করা। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত করে কৃষকদের স্মার্ট করে গড়ে তোলা হবে। এএটিপি প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষণ ও নানা ধরণের সুযোগ পেয়ে আমাদের কৃষক/কৃষাণীগনের আয় বেড়েছে এবং তারা এখন অনেক ভালো আছে। সরকার ও বিশ্ব ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত সুযোগ সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে এ দেশের কৃষকদের উন্নয়ন কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। তিনি ৯ মে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় এনএটিপি প্রকল্প কার্যক্রম পরিদর্শন এবং উদ্যেক্তা ও সিআইজি সদস্যদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অথিতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন।
কৃষি সচিব সিআইজি বিষয়ে বলেন, এনএটিপি প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা সারা দেশে ৫৪টি জেলার ২৭০টি উপজেলায় ৪০ হাজার কৃষক গ্রুপ তৈরী করেছি, এর মাধ্যমে আমরা ১০ লক্ষ কৃষক/কৃষাণীকে সংযুক্ত করতে পেরেছি। তিনি বিশ্ব ব্যাংক কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, পরবর্তীতে যে পার্টনার প্রকল্প আসছে সেখানে আমরা দেশের ৬৪ জেলার ৪৯৫টি উপজেলায় কৃষি উদ্যেক্তা ও প্রশিক্ষিত কৃষক গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার ইনসাদ ইবনে আমিন এর সঞ্চলনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন, বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিন এশিয়ায় কৃষি ও খাদ্য বিষয়ক টেকসই উন্নয়ন এবং অনুশীলন সেক্টর লিডার মিস গায়েত্রী আর্চিয়া, প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত সচিব মো: মতিউর রহমান, এনএটিপি-২ পরিচালক মো: সাখাওয়াত হোসেন শরীফ ও ডিএই খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহন কুমার ঘোষ প্রমুখ। প্রকল্প কার্যক্রম পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় বিশ্ব ব্যাংকের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল, ডিএই খুলনার উপপরিচালকসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার, প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং শতাধিক কৃষক/কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদদাতা: কৃষিবিদ শারমিনা শামিম,আরএফবিও,কৃতসা,খুলনা।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS