টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদদাতাঃ মোঃ নেওয়াজ শরীফ,টেকনিক্যাল পার্টিসিপেন্ট
কৃষি তথ্য সার্ভিস,খুলনা।
গতকাল কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার ছাতিযান ইউনিযনের দূর্গাপুর কৃষি উদ্যোক্তা মো: রিমন ইসলামের বাড়ীর উঠানে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয। কৃষিই সমৃদ্ধি এই বিষযটিকে সামনে রেখে যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় চলতি রবি মৌসুমে বাস্তবায়িত প্রদর্শনীর উক্ত কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মো: মতিয়র রহমান। অত্র উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মাহিরল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ও মোছা: সাহানা সুলতানা।
মাঠ দিবসে বক্তারা বলেন, লেটুস পাতা খেলে বার্ধক্য দেরিতে আসে । ত্বকে বলিরেখা পড়ে না। ঠান্ডাজনিত অসুখ হাঁচি, কাশি, কফ, হাঁপানি ও ফুসফুসের ইনফেকশন দূর করতে সালাদে প্রতিদিন লেটুসপাতা খেতে পারেন। কাঁচা বা ভাজা লেটুসপাতার সালাদ রক্ত পরিষ্কার করে, হৃৎপিন্ডের শিরা-উপশিরার দেয়ালে চর্বি জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। পাশাপাশি এ লেটুস পাতা আবাদে পোকামাকড় আক্রমণ করে না বলেই সার কীটনাশকের দরকার পডে না, যার ফলে লাভের পরিমাণ ও বেশি।
বক্তারা আরও বলেন, আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহার না করে একটি টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব নয়। একটি টেকসই কৃষিব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের প্রধান লক্ষ্য হওযা উচিত কৃষকদের কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরো আগ্রহী করে তোলা এবং সে গুলো যথাসম্ভব সহজলভ্য ও সুলভ মূল্যে সরবারহ করা। জমি প্রস্তুতকরণ থেকে শুরু করে ফসল মাড়াই পর্যন্ত সব প্রক্রিয়াটি যান্ত্রিকীকরণ হলে কৃষকরা আরো বেশি লাভবান হবেন। এর ফলে সময ও খরচর সাশ্রয় হবে এবং কৃষকের আয় বৃদ্ধি পাবে। মো: রিমন ইসলাম একজন কৃষি উদ্যোক্তা। তিনি এ বছর লেটুস চাষ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে তার নিজের ১০ শতাংশ জমিতে লেটুসের চাষ শুর করেন। তার দশ শতাংশ জমিতে তিনি লেটুস চাষ করে ৬০ হাজার টাকা লাভ করেছেন। এ জাতটি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ জাতটি আমাদের জন্য আশীর্বাদ স্বরুপ।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS