খুলনার ডুমুরিয়ায় প্রথমবার ডায়াবেটিকস রাইস চাষাবাদে সাফল্য
সংবাদদাতা মোঃ আবদুর রহমান, এআইসিও,কৃষি তথ্য সার্ভিস,খুলনা।
খুলনায় প্রথমবারের মতো এবছর বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউট উদ্ভাবিত ডায়াবেটিক রাইসের চমৎকার ফলন হয়েছে। ডুমুরিয়া উপজেলার টিপনা বিলে আধুনিক কৃষক শেখ মনজুর রহমান উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শমত সম্পূর্ণ নতুন জাতের এ ধান চাষ করেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিস ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউট সূত্র জানান, ব্রি বিগত ৬ বছরের অধিক সময় ধরে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ২০২৩ সালের ২রা মার্চ বোরো মৌসুমের জন্য উচ্চ ফলনশীল সল্প গ্লাইসোমিক ইনডেক্স (জিআই) বা ডায়াবেটিক রাইস ব্রি ধান ১০৫ সারা দেশে চাষাবাদের জন্য উম্মুক্ত করে। এরই ধারাবাহিকতায় ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যেগে উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়নের টিপনা বিলে নতুন এ জাতের ধান চাষ করা হয়। খুলনা - সাতক্ষীরা সড়কের পাশে ব্রি ১০৫ জাতের আবাদকৃত কৃষক মনজুর জানান, উপজেলা কৃষি অফিসার মহোদয়ের পরামর্শে ও তাদের দেয়া সকল প্রকার সার বীজ নিয়ে আমি প্রথম বারের মতো এ জাতের ধান চাষ করে সফল হয়েছি। অন্যান্য জাতের বোরো ধানের মতই চাষ করেছি, তবে এ ধানে ১ বার বেশী পানি সেচ দিতে হয় এবং এক সপ্তাহ পরে ধান কাটতে হয়। তবে ঝড়েও এ ধান গাছ পড়ে না। তিনি সকলের সামনে একটি ধানের শীষ এনে তাতে ২০০টি ধানের দানা গুণে দেখিয়ে বলেন, অন্যান্য বোরো ধানের শীষে সাধারণত ১৫০টি দানা হয় অর্থাৎ এ জাতের ধানে ফলন বেশী।
ডায়াবেটিক রাইস প্রসঙ্গে ব্রি সূত্রে জানা যায়, এ ধানের গুণগতমান ভালো, চাল মাঝারি আকৃতি চিকন এবং এর জিআই মান ৫৫ হওয়ায় এটিকে লো-জিআই বাইস বা ডায়াবেটিক রাইস বলা যায়। উপজেলা কৃষি অফিসার ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, এ ধানের জীবনকাল ১৪৮ দিন ও অন্যান্য ধানের তুলনায় এ জাতে গøুকোজ (মিষ্টি)’র পরিমাণ খানিকটা কম বলে এর ভাতে ডায়াবেটিক রোগ বিস্তার বা নিয়ন্ত্রনে কার্যকর ভ’মিকা রাখবে। তিনি আরো বলেন, ডুমুরিয়ায় প্রথম আবাদকৃত এ জাতে ভালো ফলন হয়েছে, আগামীতে এ ক্ষেতের ধানই বীজ হিসেবে তৈরী করে চাষিদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS