গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
কৃষি তথ্য সার্ভিসের আঞ্চলিক কার্যালয়
২৫২/১,শেরে বাংলা রোড,দ্বিতীয় তলা,খুলনা
স্মারকনং-১২.০৫.৪৭৫১.০০২.০৫.০০৪.১৫/১৭০ তারিখঃÑ ১৪/০৮/২০১৮
বিজ্ঞপ্তি
কৃষি তথ্য সার্ভিস, খুলনার এক বিজ্ঞপ্তিতে কোরবানীর পশু জবাই,চামড়া ছাড়ানো ও সংরক্ষণ সম্পর্কে কিছু তথ্য জানিয়ে দেয়া হচ্ছে- পশুকে জবাই করার পূর্বে ভালভাবে গোসল করিয়ে নিতে হবে যাতে পশুর দেহে কোন ময়লা না থাকে। জবাই করার ২ ঘন্টা পূর্বে পশুকে প্রচুর পানি পান করাতে হবে । এতে করে পশুর দেহ থেকে চামড়া ছাড়ানো সহজ হয় ।
পশু জবাই, চামড়া ছাড়ানোঃ
-পশুকে জবেহ করার সময় পশুরদেহে যাতে চোট না লাগে সে দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে তা না হলে চামড়ার গুনগতমান কমে যাবে।
-জবেহ করার জন্য নকদার ছুরি এবং চামড়া ছাড়ানোর জন্য মাথা বাঁকানো ছুরি ব্যবহার করাতে হবে ।
-জবেহ করার পর পশুরদেহ নিস্তেজ হয়ে গেলে পশুকে চিত করে শুইয়ে দুপাশে ঠেস দিতে হবে এতে ছুরির কাটা দাগ লাগার সম্ভাবনা থাকে না।
-নকদার ছুরির অগ্রভাগ দিয়ে জবেহ করার স্থান থেকে গলা ,সিনা ও পেটের মাঝখান দিয়ে অন্ডকোষ পর্যন্ত সোজাসুজি চামড়া ফেড়ে নিতে হবে ।
-একই ভাবে সামনের দুপায়ের হাটু থেকে সিনা পর্যন্ত চামড়া কেটে সিনার উপর দিয়ে কাটা দাগের সংগে মিলিয়ে নিতে হবে ।
-ছোট পশুকে গাছের ডালে বা ঝুলনে ঝুলিয়ে চামড়া ছাড়াতে হবে । এতে চামড়া নষ্ট হবে না
-ছাড়াইকৃত চামড়া যত শীঘ্র বিক্রয় কেন্দ্রে পাঠাবার ব্যবস্থা করতে হবে । ৫-৬ ঘন্টার মধ্যে চামড়া বিক্রি না হলে চামড়া সংরক্ষণের পদ্ধতি অনুযায়ী সংরক্ষণ করতে হরে ।
-সঠিক ভাবে চামড়া ছাড়ানো আমার -আপনার সকলের দায়িত্ব।
কোরবানীর পশুর চামড়া সংরক্ষণের সহজ নিয়মাবলীঃ
-চামড়া ভালভাবে পরিস্কার পানিতে ধুয়ে নিতে হবে ।
-চামড়ায় লেগে থাকা অতিরিক্ত গোশ্ত ,চর্বি এবং ঝিল্লি ভালভাবে ছুরি দিয়ে উঠিয়ে ফেলতে হবে তা নাহলে ঐ সম¯ত স্থানে লবন প্রবেশ করবে না ।
-চামড়ার গোশতের পিঠ উপরের দিক রেখে মুঠি মুঠি লবন ছড়িয়ে হাত দিয়ে ভালভাবে ঘসে তাতে লবন লাগাতে হবে ।
-প্রথমবার লাগান লবন চুষে নিলে আরও একবার লবন ছড়িয়ে দিতে হবে ।
-মনে রাখা দরকার গরুর চামড়া প্রতিটির জন্য ৫-৭ কেজি এবং ছাগল / ভেড়ার চামড়া প্রতিটির জন্য দেড় থেকে দুই কেজি লবন দরকার হয় ।এ ছাড়া আরো বিস্তারিত জানার জন্য আপনার নিকটস্থ প্রাণি সম্পদ অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন ।
( এম এম আব্দুর রাজ্জাক )
আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার
কৃষি তথ্য সার্ভিস খুলনা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস