বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট,আঞ্চলিক কার্যালয় সাতক্ষীরার উদ্যেগে গত ১৪ অক্টোবর সকাল ১০টায় সাতক্ষীরাস্থ মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রির্সোট মিলনায়তনে খুলনা-যশোর অঞ্চলে বোরো ধানের আবাদ ও ফলন বৃদ্ধিতে করণীয় র্শীষক দিনব্যাপী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) সনৎ কুমার সাহা এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যকালে বলেন, বর্তমানে কৃষি একটি লাভজনক পেশা। কৃষি বানিজ্যিকীকরণ এখন সময়ের দাবী। যেখানে যে ফসল চাষাবাদ করে লাভবান হওয়া যাবে সেখানে সে ফসল চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। কৃষি বিপনন ব্যবস্থায় ব্র্যান্ডিং করতে পারলে লাভের পরিমাণ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। অতিরিক্ত সচিব আরো বলেন, দেশের উপকূলীয় অঞ্চল খুলনায় বোরোর আবাদ বৃদ্ধিতে প্রযুক্তি নির্ভর না হলে লাভবান হওয়া যাবে না। বোরো আবাদে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ব্যবস্থা করতে পারলে কৃষকেরা লাভবান হবেন। যেখানে বোরো আবাদে খরচ বেশী হবে সেসব এলাকায় ভূট্টা চাষ সম্প্রসারণে উপস্থিত কৃষিবিদদের প্রতি আহবান জানান। কর্মশালায় উত্থাপিত প্রস্তাবসমূহ জাতীয় পর্যায়ে কৃষি ব্যবস্থাপনাকে আরো গতিশীল করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)’র মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন। সভাপতির বক্তব্যকালে তিনি বলেন, বর্তমানে ব্রি উদ্ভাবিত হাইব্রিডসহ উচ্চ ফলনশীল ধানের সংখ্যা সেঞ্চুরী করেছে। সরকারের সুষ্ঠু কৃষি নীতির ফলে পরিবেশ সহনশীল, রোগমুক্ত ও পুষ্টি সমৃদ্ধ আধুনিক জাত কৃষকের নিকট পৌছানো সম্ভব হয়েছে। বোরো ধানের ফলন বাড়াতে ধানের জাত, জমির প্রকৃতি, আধুনিক ধান চাষ পদ্ধতি, আবহাওয়ার গতি প্রকৃতি ও যান্তিকীকরণের বিষয়গুলির প্রতি লক্ষ্য রাখলে বোরোর ফলন বাড়বে ও কৃষকেরা লাভবান হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয়, সাতক্ষীরার প্রধান বৈজ্ঞনিক কর্মকর্তা ড. মোঃ ইব্রাহীম কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকার সরেজমিন উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ চন্ডীদাস কুন্ডু, ব্রি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. তমাল লতা আদিত্য, ডিএই খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান, যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ আলী ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল। বোরো আবাদ পরিস্থিতি ও ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে প্রেজেন্টেশন করেন, ডিএই খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোহন কুমার ঘোষ ও ডিএই যশোরের উপপরিচালক কৃষিবিদ এমদাদ হোসেন শেখ। কর্মশালায় মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সহকারী আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার কৃষিবিদ বুদ্ধদেব সেন, ডিএই বাগেরহাট উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আফতাব হোসেন, ডিএই সাতক্ষীরার উপপরিচালক কৃষিবিদ অরবিন্দ বিশ্বাস, বিএডিসি উপপরিচালক (বীজ) কৃষিবিদ মোঃ লিয়াকত আলী । এছাড়াও খুলনা ও যশোর অঞ্চলের উপজেলা কৃষি অফিসার, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেন। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় ডিএই খুলনা ও যশোর অঞ্চলের অঞ্চল, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অফিসার, বিএডিসি, এসসিএ, এআইএস, এসআরডিআই এবং ব্রি’র কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের বৈজ্ঞানিকবৃন্দসহ ২৬০ জন অংশগ্রহণ করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস