স্বয়ং সম্পূর্ন মাছে দেশ,বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার বলেছেন, আমাদের আমিষের চাহিদা মেটাতে পরিকল্পিতভাবে মাছের চাষ বাড়াতে হবে। আমাদের জীবন ধারনের জন্য মাছ অত্যন্ত উপকারী, মাছের চর্বি কোন ক্ষতিকর নয় তাই মাছ উৎপাদন করে দেশকে সাবলম্বি করে তুলতে হবে। তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশের তিনটি শর্ত ২০২৪ সালের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে অব্যহত রাখতে পারলে ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা আমরা পাব। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার গত ১৯ জুলাই/১৮ খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সকাল ১০ টায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ এর উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক খুলনা মোঃ আমিন উল আহসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় মৎস্য উপপরিচালক খুলনা রনজিত কুমার পাল, উপপরিচালক মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রন খুলনা মোঃ আবদুল অদুদ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা খুলনা মোঃ আবু ছাইদ। বক্তব্য রাখেন পোল্ট্রি ফিসফিড সমবায় সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট আঃ হালিম, সম্পাদক মোঃ সোহরাব হোসেন, মৎস্যজীবি আবুল কাশেম, জাতীয় মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিকদার, সাবেক উপপরিচালক মৎস্য অধিদপ্তর প্রফুল্ল কুমার সরকার, ফ্রোজেন ফুড সমিতির সহ সভাপতি মোঃ আব্দুল্লাহ বাকী প্রমুখ।
বিশেষ অতিথি মোঃ আবদুল অদুদ উপপরিচালক মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রন খুলনা বলেছেন, সরকার মৎস্যের মান নিয়ন্ত্রন আইন করেছেন। মৎস্যের রপ্তানি উপযোগী করার জন্য তিনটি ল্যাব স্থাপন করেছে। বিশেষ অতিথি আরও বলেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে মৎস্য চাষীদের ক্ষতিপুরন দেয়া দরকার। যে জমিতে মাছ চাষ করা হয় সেক্ষেত্রে বাণিজ্যিক হারে ট্যাক্স ও বিদ্যুতের দাম নেয়া হয় এ ক্ষেত্রে সাধারন হারে করার আহব্বান জানান। বিশেষ অতিথি রনজিত কুমার পাল বলেন মৎস্য সপ্তাহের মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে মাছ চাষে চাষীদের উদ্বুদ্ধ করা। ধান পাট চাষের মত মাছ বিজ্ঞান ভিত্তিতে করতে হবে। তিনি বলেন এই প্রথম খুলনার বয়রাস্থ মৎস্য ভবনে ২০-২২ জুলাই ৩ দিন ব্যপি মৎস্য মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বর্তমান সরকার মৎস্য বান্ধব সরকার। মৎস্য সেক্টর উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে। প্রধান অতিথি এর আগে মহানগরীর শহীদ হাদিস পার্ক পুকুরে মৎস্য পোনা অবমুক্ত করে মৎস্য সপ্তাহের উদ্ভোধন করেন। প্রধান অতিথির নেতৃত্বে হাদিস পার্ক থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে ডিসি অফিস প্রাঙ্গনে শেষ হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস