সমালয় চাষাবাদের মাধ্যমে সরকার কৃষিকে আধুনিকীরণ ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রযুক্তি কৃষকের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে । এসব প্রযুক্তি লাভজনক ও টেকসইভাবে প্রয়োগের ফলে দেশের জিডিপিতে ভূমিকা রেখে চলেছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানা ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষক লাভবান হচ্ছে সেসব লাভজনক প্রযুক্তি অন্যান্য কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ওয়াহিদা আক্তার ৬ জানুয়ারী সকাল ৯টায় খুলনার বটিয়াঘাটার চক্রাখালী গ্রামে হাইব্রিড জাতের বোরো ধানের সমালয় প্রদর্শনীর ট্রে তে বীজতলা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের কৃষি জমি দিন দিন কমে যাচ্ছে। লবণাক্ততা ও জলাবদ্ধতার কারণে একসময় দক্ষিাণাঞ্চলের বিশাল এলাকা অনাবাদি পড়ে থাকতো । কৃষি বান্ধব সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে এসব অঞ্চল এখন অনেক বেশী সম্ভনাময়। কৃষি বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ও জাতসমূহ এসব এলাকায় ফসল আবাদের নিবিড়তা বাড়িয়ে কৃষিকে লাভজনক করতে ভূমিকা রেখে চলেছে। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রতি ইঞ্চি জমি ব্যবহার নিশ্চিত করতে উপস্থিত কৃষি মন্ত্রণালয়ধীন দপ্তর ও সংস্থা সমূহের কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান।
এসময় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ ফজলুল হক, ডিএই খুলনার উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ হাফিজুর রহমান, এসআরডিআই এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, অমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, ডিএই’র জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মমিনুর রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রবিউল ইসলাম, আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শারমিনা শামিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে অতিরিক্ত সচিব বটিয়াঘাটা গ্রামে কৃষক নিহাররঞ্জন মন্ডলের পারিবারিক সবজি ও পুষ্টি বাগান, চুঁই এবং মিশ্র ফল বাগানসহ মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউট এর লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনা ও গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস