খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন।সেই আহবান বাস্তবায়নের আজ সময় এসেছে।আমাদের শুধু গাছ লাগালেই হবে না বরং গাছ লাগাতে সবাইকে উদ্ভুদ্ধ করতে হবে।তিনি বলেন, এ শহরে প্রায় ১৬ লাখ লোক একটি করে গাছ লাগালে ১৬ লাখ গাছ রোপন করা হবে। মেয়র গত ১১ জুলাই খুলনা জেলা প্রশাসন, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে ১৫ দিন ব্যাপী খুলনা বিভাগীয় বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০১৯ উদ্ভোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।তিনি আরো বলেন, বাড়ির আঙিনা ও ছাদ হতে পারে গাছ লাগানোর উপযুক্ত স্থান।একইসাথে তিনি সুন্দরবন ধংসের জন্য যারা দায়ী তাদের উদ্দেশ্যে হুঁসিয়ারী উচ্চরণ করে বলেন,তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে বিশ্বকে তথা দেশকে রক্ষা করতে বনজ গাছের পাশাপাশি ফলজ ও ওষুধি গাছ লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এবারের বৃক্ষরোপন অভিযানের প্রতিপাদ্য হলো-“শিক্ষায় বন প্রতিবেশ, আধুনিক বাংলাদেশ”।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান, রেঞ্জ ডিআইজি ড.খ. মহিদ উদ্দিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার উপপরিচালক কৃষিবিদ পংকজ কান্তি মজুমদার, কেএমপি’র উপ পুলিশ কমিশনার মোঃ এহসান শাহ ও খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম হাবিব।স্বাগত বক্তব্য দেন, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ বশিরুল-আল-মামুন।নার্সারী মালিক সমিতির পক্ষে বক্তৃতা করেন, সমিতির সভাপতি মোঃ বদরুল আলম রয়েল।
উদ্ভোধণী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এবারের খুলনার বৃক্ষমেলায় অন্তত লক্ষাধিক প্রজাতির গাছের চারার সমারোহ হয়েছে। দেশী ফল খাওয়ার মধ্য দিয়ে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের দিকে জনগণকে উদ্ভুদ্ধ করতে গুরুত্বারোপ করা হয়।সুইজারল্যান্ডের এক গবেষণার তথ্য তুলে ধরে বক্তারা বলেন, পৃথিবীতে এক লাখ কোটি গাছ লাগানো গেলে আজকের পৃথিবী আবার সেই একশ’ বছর আগে ফিরে যাবে।যেটি অসম্ভব কিছুই না। জমি না থাকলেও বাড়ির আনাচে কানাচে এবং ছাদেও প্রচুর গাছ লাগানো সম্ভব বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন।এবারের বৃক্ষ মেলায় নার্সারী মালিকদের ৪৯টি এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ১১টি মিলিয়ে সর্বমোট ৬১টি স্টল রয়েছে।মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।এর আগে প্রধান অতিথির নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র্যালী শহীদ হাদিস পার্ক থেকে শুরু হয়ে সার্কিট হাউজ ময়দানে এসে শেষ হয।পরে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্ভোধন করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস