Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
খুলনার দৌলতপুরে নিরাপদ পান উৎপাদন কর্মসূচীর কর্মশালা অনুষ্ঠিত
বিস্তারিত

                          কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ক্রপস উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ এম এম হাছেন আলী বলেছেন, পান অর্থকরী ফসল এবং আমাদের ঐতিয্যের সাথে  জড়িত। রপ্তানীযোগ্য কৃষি পণ্যের মধ্যে পান উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। খুলনা অঞ্চলে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে পান চাষ হয় যা দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে এগিয়ে রয়েছে। তিনি গত ১১ এপ্রিল সকালে খুলনার দৌলতপুরস্থ ডিএই অডিটরিয়ামে নিরাপদ পান উৎপাদন প্রযুক্তি সম্প্রসারণ কর্মসূচীর আওতায় আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায়  তিনি আরো বলেন, গত বছর প্রায় ১৭৩.৫ মে.টন পান বিদেশে রপ্তানী হয়েছে। নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে পান চাষিরা তাদের উৎপাদনকে ধরে রেখেছেন। পানের  ফলন ও ভালমানের পান উৎপাদনে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এর ফলে দেশে আরো ভালো মানের পান উৎপাদন হবে সেইসাথে বিদেশেও আমাদের পানের কদর বাড়বে। ডিএই খুলনা অঞ্চল আয়োজিত এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, দৌলতপুর খুলনার অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মোঃ সোহরাব হোসেন ও  ডিএই’র সাবেক পরিচালক কৃষিবিদ নিত্যরঞ্জন বিশ্বাস। মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হুসনা ইয়াসমিন এর সঞ্চলনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন, ডিএই খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোহন কুমার ঘোষ। সভাপতির বক্তব্যে খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, আমাদের নিরাপদ পান উৎপাদনের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। পান চাষে রাসয়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে জৈব পান উৎপাদনের দিকে পান চাষিদের উদ্ভুদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের পান অন্যান্য দেশের তুলনায় উন্নতমানের হওয়ায় এর বৈশ্বিক চাহিদা রয়েছে এবং রপ্তানীর মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করার যথেষ্ট সম্ভবনা রয়েছে। তিনি নিরাপদ পান উৎপাদনের প্রতি উপস্থিত কৃষি কর্মকর্তা ও পান চাষিদের প্রতি আহবান জানান। কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে রপ্তানীযোগ্য পান উৎপাদনকারী কৃষক সুব্রত বক্তৃতা করেন। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় ডিএই খুলনা আঞ্চলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ কৃষি তথ্য সার্ভিস, বিএআরআই, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, বীজ প্রত্যয়ণ এজেন্সি ও হর্টিকালচাল সেন্টার, দৌলতপুরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
15/04/2019
আর্কাইভ তারিখ
30/06/2019