বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৮ এর “কর্ম গড়ে ভবিষ্যৎ,কর্মই গড়বে ২০৩০ এ ক্ষুদামুক্ত বিশ্ব” শ্লোগানকে সামনে রেখে খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর সুদক্ষ নেতৃত্বের ফলে কৃষিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে খাদ্য উৎপাদনে আধুনিক ও লাগসই প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। সনাতন কৃষির পরিবর্তে প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। সরকারের সফল কৃষি নীতির কারণে আজ দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। সল্প পরিমাণে হলেও আজ দেশ খাদ্য রপ্তনীকারক দেশে পরিনত হয়েছে। তিনি গতকাল সকাল ১০টায় খুলনার দৌলতপুরস্থ ডিএই অডিটরিয়ামে মাসব্যপী জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান/১৮ উদ্ভোধন ও বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৮ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাদানকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের শিকড় হলো কৃষি। কৃষি বান্ধব সরকার টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের মানুষের খাদ্যাভাস পরিবর্তন হয়েছে। কৃষকেরা এখন জৈব কৃষি উৎপাদনে উৎসাহিত হচ্ছে। তিনি খুলনায় আধুনিক কৃষি মার্কেট তৈরী ও বিপনন ব্যবস্থার আধুনিকায়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করে কৃষি বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোঃ জিয়াউর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।। ইঁদরের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে গবেষকদের তথ্য উদ্বৃতি করে সংসদ সদস্য বলেন, এশিয়ায় ইঁদুর বছরে ১৮ কোটি মানুষের ১ বছরের খাবার নষ্ট করে এবং শুধু বাংলাদেশে প্রায় ৫৮ লক্ষ মানুষের ১ বছরের খাবার নষ্ট করা ছাড়াও নানা রোগ বিস্তার করে থাকে। এ কারণে ইঁদুরকে আর ক্ষমা করার কোন সুযোগ নেই। ইঁদুর নিধন শুধু কৃষি বিভাগের দায়িত্ব নয়,সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ কার্যক্রমে এগিয়ে আসার জন্য উপস্থিত সকলের প্রতি আহবান জানান। এ বছর ইঁদুর নিধন অভিযানের শ্লোগান হলো “ঘরের ইঁদুর, মাঠের ইঁদুর, ধ্বংস করে অন্ন, সবাই মিলে ইঁদুর মারি ফসল রক্ষার জন্য”।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ডিএই খুলনার উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল লতিফ ও হর্টিকালচার সেন্টার দৌলতপুরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, ডিএই অতিরিক্ত পরিচালক কার্যালয়,খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোহন কুমার ঘোষ। ইঁদুরের ক্ষয়ক্ষতি ও নিধন কৌশল বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্টে তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট দৌলতপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. হারুন অর রশিদ। পরে প্রধান অতিথি জেলা ও অঞ্চল পর্যায়ে গত বছর সব্বোর্চ ইঁদুর নিধনকারী কৃষক, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা কৃষি অফিসের মাঝে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও নগত অর্থ বিতরণ করেন এবং ইঁদুরের লেজ কেটে মাসব্যাপী ইঁদুর নিধন অভিযানের উদ্ভোধন করেন। এর আগে এক বর্ণাঢ্য র্যালী দৌলতপুরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে অনুষ্ঠান স্থলে এসে শেষ হয়। এ সময় প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ খাদ্যমেলা, ইঁদুর নিধনের কলাকৌশল ও ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক স্টল পরিদর্শন করেন। উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে কৃষি তথ্য সার্ভিস খুলনার উদ্যেগে ইঁদুর নিধন ও ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রর্দশন করা হয়। অনুষ্ঠানে কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাসহ শতাধিক কৃষক/কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস