খুলনা বিভাগীয় কমিশনার (খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত সচিব) মোঃ ইসমাইল হোসেন এনডিসি বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর যত কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন তার প্রতিটির সাথে কৃষি ও কৃষক জড়িত ছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে’। করোনাকালে সারা পৃথিবীতে খাদ্য সংকটের কারণে আমরা কৃষকের দ্বারস্থ হয়েছি। কৃষি ও কৃষকই হলো আমাদের দেশের মূল চালিকা শক্তি। তিনি ২১ মে সকালে খুলনার দৌলতপুরে ডিএই অডিটরিয়ামে ২০২১-২২ অর্থ বছরে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত কৃষক পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ হাফিজুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, সারা পৃথিবীতে কৃষককে সম্মান করা হয়, কিন্তু আমাদের দেশে এর উল্টো চিত্র দেখা যায়, এ মানসিকতা থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে। বাঁচতে হলে উৎপাদন বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, কাজের ভিতর আমাদেরকে আনন্দ উপভোগ করতে হবে,সৃজনশীল কাজের সাথে থাকতে হবে এবং পরিশ্রম করতে হবে। জীবনের প্রতিটি দিনই উৎপাদনমুখী থাকতে হবে। তিনি আমন ও বোরো ধানের মাঝে উচ্চ ফলনশীল সরিষা আবদ করে ভোজ্য তেলের উৎপাদন বাড়াতে উপস্থিত কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকদের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, ডিএই খুলনার জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার (খুলনা অঞ্চল) কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ মহাদেব চন্দ্র সানা ও আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শারমিনা শামিম।
মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হুসনা ইয়াসমিন এর সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে খুলনা জেলায় তেল ফসল উৎপাদনে অনন্য অবদানের জন্য কৃষকদেরকে পুরষ্কৃত করা হয়। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ ও তেল জাতীয় ফসল উৎপাদনকারী কৃষক/কৃষাণীগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদদাতাঃ মোঃ আবদুর রহমান, এআইসিও, কৃতসা, খুলনা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস