কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম বলেছেন,কৃষি বান্ধব সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষিকে আধুনিক ও ভবিষ্যতের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উপকুলীয় অঞ্চলে কৃষির যে সকল সম্ভাবনা রয়েছে তা কাজে লাগাতে নির্দেশনা দিয়েছেন। এ জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প গ্রহণ করার ক্ষেত্রে দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন ও সেচ সুবিধা কাজে লাগিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির প্রতি তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আসন্ন বোরো মৌসুমে ধানের জাত নির্বাচনে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, কম ফলনের পুরাতন জাতগুলিকে বাদ দিয়ে রোগ ও পোকামাকড়মুক্ত জাত এবং হাইব্রিড ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু জাতসমূহকে অগ্রধিকার দিতে হবে।
সিনিয়র সচিব ১২ নভেম্বর দুপুরে খুলনার গল্লামারীস্থ মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের সম্মেলন কক্ষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প আয়োজিত অগ্রগতি ও পর্যালোচনা শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আসাদুল্লাহ এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন।
কৃষি সচিব আরো বলেন, বোরো মৌসুমে প্রণোদনার মাধ্যমে কৃষকদের সহযোগিতা দিয়ে কৃষির উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে এবং কোনভাবেই যেন খাদ্য শস্য উৎপাদন ব্যাহত না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন।
সভাপতির বক্তব্যে মহাপরিচালক প্রকল্পের প্রদর্শনী বাস্তবায়নে ব্রী, বারি ও বিনা’র বিজ্ঞানীদের পরামর্শ অনুযায়ী অধিক ফলনশীল জাত নির্বাচন ও আরো অধিক এলাকা সেচের আওতায় এনে উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ প্রদান করেন সেইসাথে প্রণোদনা কর্মসূচী যথাসময়ে বাস্তবায়নের প্রতি নিদের্শনা প্রদান করেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ জি এম এ গফুর, ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মনোজিত কুমার মল্লিক ও বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ তাওফিকুল আলম। অতিরিক্ত উপপ্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ তৌহিদীন ভূঁইয়ার সঞ্চলনায় স্বাগত বক্তব্য ও প্রকল্পের কিনোট উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ আলমগীর বিশ্বাস। কর্মশালায় প্রকল্পভুক্ত জেলা সমূহের উপপরিচালক ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি অফিসারসহ, এসসিএ, বিনা, এসআরডিআই, কৃষি তথ্য সার্ভিস,ব্রি, বারি বিএডিসি ১০০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস