খুলনা বিভাগীয় বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলা গত ২৭ জুলাই শনিবার শেষ হয়েছে। বৃক্ষমেলার সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার। প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, বৃক্ষ না থাকলে আমরা বেঁচে থাকতে পারতাম না। সব কিছু আমরা বৃক্ষ থেকে পেয়ে থাকি। পরিবেশ সংরক্ষণ ও দারিদ্র বিমোচনে বৃক্ষ রোপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদেরকে শুধু গাছ লাগালেই হবে না। পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগাতে হবে ও এর সঠিক পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। সামাজিক বনায়নকে আরো বেগবান করতে হবে। তিনি বলেন, ফলজ,বনজ ও ঔষধি গাছ লাগানোর মাধ্যমে আমাদের বৃক্ষরোপন অভিযানকে সফল করে তুলতে হবে। কাঠের বিকল্প ব্যবহার অভস্থ হতে পারলে বৃক্ষ নিধনের হার কমবে। সুন্দরবন আমাদের এ অঞ্চলকে প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে রক্ষা করে আসছে। সুন্দবনকে রক্ষা করতে হবে। একটি গাছ কাটলে তিনটি গাছ লাগাতে তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান। খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(এল.এ)মোঃ ইকবাল হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ বশিরুল-আল-মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপবন সংরক্ষক মোঃ কবীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার উপপরিচালক কৃষিবিদ পংকজ কান্তি মজুমদার। এ সময় উপপরিচালক ডিএই তার বক্তব্যে নিজ নিজ আঙ্গীনায় ও ছাদ বাগানে দেশী ফল চাষের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, দানাদার খাদ্যের উপর চাপ কমাতে আমাদের বেশী বেশী ফল ও সব্জি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, খুলনা নার্সারী মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ বদরুল আলম রয়েল। পরে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মেলায় অংশগ্রহণকারী স্টল মালিকদের মধ্যে প্রথম স্থান করিম নার্সারী, দ্বিতীয় স্থান ডালিয়া নার্সারী ও তৃতীয় স্থান নিউমার্কেট নার্সারী। অনুষ্ঠানে স্কুল শিক্ষার্ত্রীদের বৃক্ষরোপনের উপর চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগীদের মধ্যে সনদপত্র ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। খুলনা বিভাগীয় বৃক্ষমেলা জেলা প্রশাসন, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যৌথভাবে আয়োজন করে। এবারের বৃক্ষমেলায় প্রায় ৪১ লক্ষ টাকার ৪৩ হাজার বনজ,ফলজ,ঔষধি ও শোভাবর্ধনকারী গাছের চারা বিক্রয় হয়েছে বলে মেলা আয়োজক সূত্রে জানা গেছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস