সারা দেশের ন্যায় ‘আসুন, সম্পদ ও ফসল রক্ষায় সম্মিলিতভাবে ইঁদুর নিধন করি’ প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে গত ২২ অক্টোবর সকাল ১০ টায় বাগেরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত মাস ব্যাপী জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান ২০১৯ এর উদ্ধোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বাগেরহাটস্থ ডিএই খামারবাড়ি প্রশিক্ষণ হলে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে বাগেরহাট -৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ডাঃ মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ইঁদুর একটি সামাজিক ও জাতীয় শত্রু এদেরকে সপরিবারে ধ্বংস করতে হবে। একটি ইঁদুর মারলাম মানে একটি শত্রু মারলাম উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন বিজ্ঞান সম্মত বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশিক্ষন কর্মসূচির মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে ইঁদুর নিধন করতে হবে। ইঁদুরের ক্ষয় ক্ষতির পরিমান বিবেচনা করে সারা বছর ব্যাপী ইঁদুর নিধন কর্মসূচি চালিয়ে যেতে উপস্থিত সকলের প্রতি আহবান জানান। সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (রাজস্ব) মোঃ শাহিন হোসেন বলেন ,আমাদের দেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যহত রাখার জন্য কৃষি জমির পরিমান দিন দিন কমে যাচ্ছে। দেশের কৃষির সাফল্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,সারা বিশ্বে যেখানে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে সেখানে প্রবৃদ্ধির দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৩য়। এই প্রবৃদ্ধিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে, কৃষির এ সাফল্য ধারাকে ইঁদুর যাতে ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য প্রতিটি গ্রাম, ইউনিয়ন, পৌরসভা, উপজেলা ও জেলায় সকলকে একযোগে ঈঁদুর নিধন কার্যক্রমে এগিয়ে আসার আহবান জানান। জেলা কৃষি প্রকৌশলী লুনা রাণী মল্লিক এর সঞ্চলনায় স্বাগত বক্তব্য ও ইঁদুরের ক্ষয়ক্ষতি ও দমন ব্যবস্থাপনার উপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশেন করেন, অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ অমিতাভ মন্ডল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ দীপক কুমার রায়। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, উপজেলা কৃষি অফিসার রামপাল কৃষিবিদ মোঃ মোতাহার হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোড়েলগঞ্জ কৃষিবিদ মোঃ সিফাত আল মারুফ, উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার শরণখোলা মোঃ মেসবাহ আহমেদ ও ফকিরহাটের উপ সহকারী কৃষি অফিসার বিপ্লব কুমার দাস। পরে প্রধান অতিথি একটি ইঁদুর নিধন করে এ কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষনা করেন। এর আগে প্রধান অতিথির নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে খামারবাড়ি এসে শেষ হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস