সারাদেশের ন্যয় ১৮ অক্টোবর সকাল ১১টায় যশোর ডিএই সম্মেলন কক্ষে মাসব্যাপী আঞ্চলিক পর্যায়ে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান ২০২১ এর উদ্বোধন ও ২০২০ এ ইঁদুর নিধনে কৃতিত্বের জন্য পুরষ্কার বিতরণ করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চল আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ জাহিদুল আমিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, ইঁদুর নিধন অভিযান এখন সামাজিক আন্দেলনে রূপ নিয়েছে। এ ক্ষুদ্র প্রাণিটি বছরে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার ধান ফসল নষ্ট করে। ইঁদুর ৬০ ধরণের রোগের বিস্তার ঘটায় উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ইঁদুরের কারণে আমাদের এ পৃথিবীতে এক সময় প্লেগ রোগটি মাহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল। তিনি বলেন, ইঁদুর দ্রুত ও অধিক প্রজননক্ষম হওয়ায় এটি নিধনে নতুন প্রযুক্তি বন্ধ্যা করণ পিল ব্যবহার শুরু হলে এর উপদ্রপ যেমন কমবে তেমনিভাবে এ নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করাও সহজ হবে। তিনি মাসব্যাপী ইঁদুর নিধন অভিযানকে সফল করতে সম্মিলিত ও সামাজিকভাবে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। ইঁদুর নিধন অভিযানের এবারের প্রতিপাদ্য হলো “জাতীয় সম্পদ রক্ষার্থে, ইঁদুর মারি একসাথে”। যশোর সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ শেখ মোঃ নুরুল্লাহ’র সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, যশোর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ আশরাফুল আলম, এসআরডিআই প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ডিএই মাগুরার জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোঃ মোশাররফ হোসেন ও ডিএই মেহেরপুরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোঃ সামছুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য ও ইঁদুরের ক্ষয়ক্ষতির উপর কিনোট উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত উপপরিচালক শস্য সংরক্ষণ কৃষিবিদ সৌমিত্র সরকার। পরে প্রধান অতিথি একটি ইঁদুরের লেজ কাটার মাধ্যমে মাসব্যাপী এ নিধন অভিযানের শুভ উদ্বোধন করেন ও ২০২০ সালে ইঁদুর নিধনে কৃতিত্বের জন্য কৃষক, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ প্রদানের মাধ্যমে পুরষ্কৃত করেন। অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ও কৃষক/কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস