কৃষি সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম বলেছেন, দেশের আবাদি জমি প্রতিনিয়ত কমছে, খাদ্য উৎপাদন অব্যহত রাখতে প্রতিদিন আমাদের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। আমাদের আগামীর খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্ট্রেস টলারেন্স প্রযুক্তির প্রয়োগ করতে হবে। কৃষি বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টায় উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন, কৃষি উন্নয়ন কর্মীদের আন্তরিকতা ও জাতীয় বীর কৃষক ভাইদের দিন রাত পরিশ্রমসহ সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে এক সময়ের খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে আমরা দানা জাতীয় খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, এক সময়ে রান্না, খাওয়া ও ছোট খাটো অসুখ বিসুখে আমরা সরিষার তেলের উপর নির্ভরশীল ছিলাম, অপপ্রচারের কারণে বিদেশী ডাল,তেলের প্রতি আমাদের নির্ভরতা বেড়ে যাওয়ায় এসব ফসলের সযংস্পূর্ণতা হারিয়ে পরোমূখাপেক্ষি হয়েছি। কৃষি সচিব বৃহত্তর ফরিদপুর ও বরিশাল অঞ্চলে পেঁয়াজ উৎপাদনে সযংস্পূর্ণতা অর্জনে যেমন ভূমিকা রেখেছে তেমনিভাবে ডাল ও তেল ফসল উৎপাদনের রাজধানীর ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি ২২ জুলাই সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক কেন্দ্র মাদারীপুর আয়োজিত আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্র মাদারীপুরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বৃহত্তর বরিশাল ও ফরিদপুর অঞ্চলে ডাল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের ইনসেপশন ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার এতে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক মোঃ বেনজীর আলম , বিএআরআই গাজীপুরের পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন উইং পরিচালক ড. অপূর্ব কান্তি চৌধুরী ও ডাল গবেষণা কেন্দ্র ঈশ্বরদী পাবনার পরিচালক ড. মোঃ মহিউদ্দিন।
পরে কৃষি সচিব কৃষি মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় স্মল হোল্ডার এগ্রিকালচার কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্টের আওতায় উপসহকারী কৃষি অফিসারদের ৪৮ দিন ব্যাপী সিজন লং টিওটি ফর মার্কেট লীড ফর্মাস ফিল্ড স্কুল ফেসিলিটেটরস প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক মোঃ বেনজীর আলম এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
সংবাদদাতাঃ কৃষিবিদ শারমিনা শামিম,আরএফবিও,কৃতসা,খুলনা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস