কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক কৃষিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অভিভাবক মাননীয় কৃষিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি মহোদয়ের পরিচালনায় কৃষি মন্ত্রণালয় জাতির জনকের জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীতে ব্যাপক কর্মসূচী পরিচালনা করে চলেছে। তারই অংশ হিসেবে আজ এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি কার্যক্রমের সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সন্নিবেশিত করা হয়েছে। কৃষি নীতি ২০১৮ অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের অংশ হিসেবে ঝুঁকিতে থাকা দেশের গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণাঞ্চলের কৃষির বিষয়টি আগামী প্রজন্মের জন্য ডেল্টা প্লানে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। তিনি ১৩ জুন সকালে কৃষি তথ্য সার্ভিস আঞ্চলিক কার্যালয় খুলনার সম্মেলন কক্ষে কৃষি তথ্য সার্ভিস আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ শক্তিশালীকরণ প্রকল্পে আওতায় কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও গণমাধ্যমের করণীয় বিষয়ক সেমিনারে ভার্চুয়ালী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পরিচালক আরো বলেন, বর্তমানে কৃষির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দ্রুততার সাথে কার্যকরভাবে কৃষি তথ্য সার্ভিসের যারা স্টেক হোল্ডার রয়েছেন তাদের প্রত্যেকের জন্য যে যে তথ্য প্রয়োজন তা দক্ষতার সাথে পৌঁছে দেয়ার জন্য সংস্থাটি কাজ করে যাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মনোজিত কুমার মল্লিকে এতে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, কৃষি তথ্য সেবা জণগনের নিকট আরো দ্রুত ও কার্যকরভাবে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কৃষি তথ্য সার্ভিস দেশে ১৪টি কম্যুনিটি রেডিও এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহারের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি টিভি চ্যানেল স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেট্রোনিক মিডিয়া, আইসিটি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য ইনোভেটিভ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাতে বিভ্রান্তিকর ভুল তথ্য প্রচারিত না হয় সে বিষয়ে লক্ষ রাখতে গণমাধ্যম কর্মীসহ উপস্থিত সকলের প্রতি আহবান জানান।
দিনব্যাপী এ সেমিনারে দ্বিতীয় সেশনে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ জাহিদুল আমিন । সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বিএআরআই খুলনার মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ হারুনুর রশীদ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোনমিক ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যপক মোঃ ফিরোজ আহমেদ ও এগ্রোটেকনোলজী ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যপক ড. প্রশান্ত কুমার দাস। অন্যান্যদের মধ্যে ডিএই যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা ও নড়াইল উপপরিচালকবৃন্দসহ এসব জেলার উপজেলা কৃষি অফিসারগণ, বাংলাদেশ বেতার খুলনার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধি, অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও প্রগতিশীল কৃষকসহ মোট ৫০ জন অংশগ্রহণ করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস