কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেছেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষে হাজার হাজার স্যালো মেশিন, ডিপ টিউবওয়েল এনে সেচের ব্যবস্থা করে সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। বিনামূল্যে সার, বীজ ও কীটনাশকের ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার সময়ে দেশের জনসংখ্যা সাড়ে ৭ কোটি ছিল আর আবাদি জমির পরিমান ছিল ২ কোটি হেক্টর, আর বর্তমানে জনসংখ্যা ১৭ কোটির উপরে আর আবাদি জমি ২ কোটির নীচে। তখন দানা জাতীয় খাদ্য উৎপাদন হতো ১ কোটি ১০ লক্ষ মে.টন আর বর্তমানে ৪গুণ বৃদ্ধি পেয়ে তা ৪ কোটি ২৫ লক্ষ মে.টনে উন্নীত হয়েছে। কৃষি বান্ধব বর্তমান সরকারের সার্বিক সুষ্ঠু পরিকল্পনা, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও কৃষি সম্প্রসারণের সঠিক বাস্তবায়নের ফলে এ সব সম্ভব হয়েছে। মহাপরিচালক ২৮ জুলাই সকালে খুলনার দৌলতপুরস্থ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অডিটরিয়ামে ডিএই’র ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের আওতায় নব যোগদানকৃত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ৪দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোহন কুমার ঘোষ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মোঃ নূরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ শেখ ফজলুল হক মনি। মহাপরিচালক আরো বলেন, সরকার কৃষিকে অধিক বানিজ্যিকীকরণে রপ্তানীমুখি কৃষিকে গুরুত্ব প্রদান করেছেন। দেশে বর্তমানের মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ বেড়ে ৩ হাজার ডলারে উন্নীত হয়েছে। আমরা ২০৩০ সালে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবো এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশের সম্মান ও মর্যাদা লাভ করব। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, ডিএই বাগেরহাটের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম, খুলনার উপপরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাতক্ষীরার উপপরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম। এ সময়ে কৃষি তথ্য সার্ভিস খুলনার আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শারমিনা শামিম উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণে খুলনা অঞ্চলের নব যোগদানকৃত ২২৩ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অংশগ্রহন করেন।
সংবাদদাতা: মো: আবদুর রহমান এআইসিও,কৃতসা,খুলনা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস