খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ইঁদুর একটি চতুর ও নিরব ধ্বংসকারী স্তন্যপায়ী প্রাণি। এর দ্বারা মাঠের ও গুদামের অনেক ফসল নষ্ট হয়। ফসল উৎপাদনের বড় বাঁধা হলো ইঁদুর। প্রতি বছর ইঁদুরের কারণে গড়ে সাড়ে সাত লাখ মেট্রিকটন খাদ্য শস্য নষ্ট হয়। ইঁদুর আকারে ছোট হলেও এর ক্ষতির ব্যাপকতা অনেক বেশী। ইঁদুর নিয়ন্ত্রন করতে পারলে দেশে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে সফল হওয়া যাবে।
তিনি ১৬ অক্টোবর সকালে খুলনার দৌলতপুরস্থ ডিএই অডিটরিয়ামে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান/২৩ উদ্বোধন ও বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মেয়র আরো বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের যত অর্জন তার মধ্যে ফসলের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য। বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব। কৃষি খাতের উন্নয়নের জন্য সব ধরণের সহযোগীতা করে যাচ্ছে সরকার। এজন্য বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ইঁদুর শুধু ফসলেরই ক্ষতি করে না, মানুষ ও পশু পাখির মধ্যে প্লেগ, জন্ডিস, টাইফয়েড, জ্বর, আমাশাসহ প্রায় ৬০ প্রকারের রোগ ছড়ায়। ইঁদুর নিধন পদ্ধতি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে, বংশবিস্তার রোধ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোহন কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, খুলনা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ নাজমুল হুসেইন খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার উপপরিচালক কৃষিবিদ কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ডিএই খুলনার অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ এস এম মিজান মাহমুদ।অনুষ্ঠানে বিজেএর চেয়ারম্যান শেখ সৈয়দ আলী, কৃষক মোঃ আব্দুল হালিম আকন প্রমুখ বক্তব্য করেন।
পরে মেয়র একটি ইঁদুরের লেজ কেটে মাসব্যাপী ইঁদুর নিধন অভিযান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।সফলভাবে ইঁদুর নিধন করার জন্য খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষক ও উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের মাঝে সম্মননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে কৃষি কর্মকর্তা, কৃষক, খামার মালিকসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চল, মেট্রোপলিটন কৃষি অফিস দৌলতপুর ও লবনচরা যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এর আগে মেয়রের নেতৃত্বে দৌলতপুর মেট্রোপলিটন কৃষি অফিস চত্ত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালী শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।র্যালীতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন।
সংবাদদাতা: মোঃ আবদুর রহমান, এআইসিও, কৃতসা,খুলনা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস