চুয়াডাঙ্গায় ডিএই এর উদ্যোগে আম পাড়ার সূচি নির্ধারন
সংবাদদাতাঃ মোঃ নেওয়াজ শরীফ
টেকনিক্যাল পার্টিসিপেন্ট
কৃষি তথ্য সার্ভিস, খুলনা।
চুয়াডাঙ্গায় ১৩ মে সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক কিসিঞ্জার চাকমার সভাপতিত্বে এক সভায় সম্মতিক্রমে পরিপক্ক আম সংগ্রহ ও বাজারজাতকরনের জন্য ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার করা হয়। সে অনুয়ায়ী ১৬ মে থেকে আটি,গুটি ও বোম্বাই আম, ২৪ মে থেকে হিমসাগর, ৩০ মে থকে ল্যাংড়া, ৭ জুন থেকে অম্ররুপালি (বারিআম-৩) ১৫ জুন থেকে ফজলি এবং ১ জুলাই থেকে আশি^ন ও বারি আম-৪ সংগ্রহ ও বাজারজাত শুরু হবে।
সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার উপপরিচালক বিভাষ চন্দ্র সাহা, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিন বিনতে আজিজ, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, জীবন নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সজীব পাল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
জেলা প্রশাসক কিসিঞ্জার চাকমা বলেন গুনে মানে সেরা চুয়াডাঙ্গার আমের সুনাম রয়েছে সারা দেশে। সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে সময় অনুসরন করে আম সংগ্রহ করতে হবে। কোন অবস্থাতেই বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে অপরিপক্ক আম পাড়া যাবে না।আম পাকা বা সংরক্ষনে কোন রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা যাবে না। অবৈধ উপায় আম পাকানো হলে বা পাকানোর উদ্দেশ্যে মজুদ করা হলো ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ এবং নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ অনুয়ায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, চুয়াডাঙ্গার উপপরিচালক বিভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, মৌসুমের শুরুতেই মুকুল ঝরে যাওয়া,অব্যহত তাপপ্রবাহের কারনে গুটি ঝরে যাওয়ায় এ বছর আমের উৎপাদন কম হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার উপপরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে জেলায় সব মিলিয়ে ২ হাজার ৪৬৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছিল। ফলন ভালো হওয়ায় (প্রতি হেক্টর বাগানে গড়ে ১৪ মেট্রিকটন হিসেবে) ৩৪ হাজার ৫১০ মেট্রিকটন আম উৎপাদিত হয়েছিল। এ বছর সেখানে আমের বাগানের পরিমান কমে দাড়িয়েছে ২ হাজার ৩০৪ হেক্টর। বৈরী আবহাওয়াসহ নানা কারনে হেক্টর প্রতি ফলন ও কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। হেক্টর প্রতি ১৩ মেট্রিকটন ধরে চলতি মৌসুমে ২৯ হাজার ৯৫২ মেট্রিকটন আম উৎপাদন হতে পারে। যা গত মৌসুমের তুলনায় ৪ হাজার ৫৫৮ মেট্রিকটন কম।
আম চাষীদের আশঙ্কা, ফলন কম হওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। ভোক্তা পর্যায়ে এর দামেও প্রভাব পড়বে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস