খুলনায় পার্টনার প্রকল্পের আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দক্ষিণাঞ্চলে মানুষের বেকারত্ব বেড়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে ৩০ ভাগ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। খাদ্য উৎপাদনে কৃষিবিদদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনার মাটির ডাক্তার, আপনাদের কল্যাণে মানুষ খেতে পরতে পারছে। কৃষি শিল্প সব জায়গাতেই আপনারা আছেন। তিনি ১৪ মে সকালে খুলনার দৌলতপুরস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক খুলনা অঞ্চলের অডিটরিয়ামে প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্টাপ্রেনারশিপ রিসাইলেন্স ইন বাংলাদেশ (পাটনার) প্রকল্পের খুলনা অঞ্চলের কর্মশালা উদ্বোধনকালে একথা বলেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি আরো বলেন, কৃষি উৎপাদনে সূদুর প্রসারী চিন্তা ভাবনা করতে হবে। এক্ষেত্রে গবেষণার গুরুত্ব অনেক উল্লেখ করে বলেন, এ কাজে বেশী অর্থ বরাদ্দ করা দরকার। কৃষিবিদদের কল্যাণে আজ আমরা খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জণে সক্ষম হয়েছি। সবাই মিলে দেশটাকে গড়তে পারলে আমাদের এ অর্জনকে ধরে রাখা সম্ভব হবে।
প্রকল্পের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন, প্রকল্পের এপিডি ড.গৌর গোবিন্দ দাশ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, প্রকল্পের ডিপিডি ড. মনতোষ শিকদার, কৃষি বিপনন অধিদপ্তর খুলনার উপপরিচালক ও উপসচিব মোছা. শাহানাজ বেগম, রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো খুলনার পরিচালক জিন্নাত আরা আহমেদ। কর্মশালায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন, আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ণ অফিসার বিভাষ চন্দ্র সাহা। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীবৃন্দ, প্রকল্পের ষ্টেক হোল্ডার কর্মকর্তা, আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও উপকারভোগী কৃষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদদাতা: মোঃ আবদুর রহমান, এআইসিও, কৃষি তথ্য সার্ভিস,খুলনা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস